বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৫
FULTALI HIGH SCHOOL
বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০১৫
DEBIDWAR ALIHAJ AJGOR ALI MUNSHI GIRLS HIGH SCHOOL
DEBIDWAR ALIHAJ AJGOR ALI MUNSHI GIRLS
HIGH SCHOOL
BANGURI HIGH SCHOOL
ABDULLAPUR HAZI AMIR HIGH SCHOOL
আমি তানজির,আমার বাড়ি, পরমতলা মুরাদনগর,কুমিল্লা
বুধবার, ১ জুলাই, ২০১৫
জয়পুর
একটু হাসুন এখন .. :D
মা তার ছেলেকে ১০০ টাকা দিয়ে বল্লেন, যাও বাবা বাজার থেকে একটা মুরগি নিয়ে এসো!! ছেলে বাজার থেকে মুরগি কিনেআনলে মা মুরগি দেখে বল্লেন, এতো রোগা পটকা মুরগি! রোগা পটকা মুরগি আমি নিব না! যাও ফেরত
দিয়ে এসো!! ছেলে মুরগি ফেরত দিতে গিয়ে দেখে দোকানে লেখা “বিক্রিত মাল ফেরত নেয়া হয় না”
এখন সে কি করবে!! বাসায় গেলেতো মা আচ্ছা মত বকা দেবেন! ভাবতে ভাবতে হটাৎ তার মনে হল, তার এক খালাত বোন আছে! সে তাকে খুব আদর করেন,টাকা পয়সাও দেন! তার কাছে গেলে হয়ত একটা ব্যবস্থা হবে নিশ্চই!
বোনের বাড়িতে ঢুকতে গিয়ে দেখে ড্রয়িং রুমে খুব অন্তরঙ্গ অবস্থায় একটি ছেলের সাথে তার খালতো বোন বসে আছে!!
ছেলে লজ্জা পেয়ে সেখানে না গিয়ে চুপচাপ স্টোর রুমে বসেরইল!! ইকটু পর গাড়ির হর্ন এর শব্দ! অর্থাৎ খালু এসেছেন! ড্রয়িং রুমের সেই ছেলেটিও তারাহুরা করে সেই স্টোর রুমে ঢুকে তার বরাবর বসল!! অন্ধকার ঘর,কেউ কারো মুখ দেখছে না! শুধু উপস্থিতি টের পাচ্ছে দুজনই! ইকটু পর ছেলেটি বল্ল ভাই মুরগি নেবেন? মাত্র ১০০টাকা!!
ধুর,আছি বিপদে আর ইনি আসছে মুরগি বিক্রি করতে!
না না মুরগি কিনব না!
ভাই,আপনি যদি মুরগিটা না নেন তবে আমি চিৎকার দেব!
ভাল মুসিবতে ফেল্ল ছেলেটা! বাধ্য হয়ে মুরগি কিনতে হল ভদ্র লোকের!
তার ঠিক ৫মিনিট পর ছেলেটি বলছে..
- ভাই মুরগিটা ফেরত দেন,নইলে আমি চিৎকার দেব! কপাল খারাপ হলে যা হয়,কি আর করা মুরগি ফেরত দিতে হল!! তার কিছুক্ষণ পর ছেলেটি আবার বল্ল,
- ভাই মুরগি নেবেন? মাত্র ১০০ টাকা!! এইভাবে সে মুরগিটি ৫ বার বিক্রি করে মুরগি সহ ৫০০
টাকা নিয়ে বেড়িয়ে গেল! এলিফ্যন্ট রোড ধরে যখন সে আসছিল তখন দেখল সো রুমে একটা সুন্দর জিন্স প্যন্ট ঝোলান আছে! দাম লেখা ৬০০ টাকা! কিন্তু তার কাছে আছে ৫০০ টাকা! অর্থাৎ ১০০ টাকা কম আছে! এখন এই ১০০ টাকা কোথায় পায়!!
ভাবতে ভাবতে চলে গেল নিজের বাড়িতে! ঘরে গিয়ে দেখল তার বড় ভাই ড্রয়িং রুমে বসে মনযোগ সহকারে পেপার
পড়ছেন, চুপচাপ তার কাছে গিয়ে বল্ল
- ভাইয়া মুরগি নেবে? মাত্র ১০০ টাকা!!
ভাইয়াঃ হারামজাদা বাটে ফালাইয়া ৫ বার বিক্রি করছিস এখন আবার আসছিস? আজ তোর একদিন কি আমার একদিন!!
আমি,মহিদ্দিন আমার গ্রামের নাম,জয়পুর আমার থানার নাম দেবিদ্বার, কুমিল্লা
পাপ্পুদের বাসায় কল করলেই টেলিফোন রিসিভ করেন ওর বাবা এবং আঙ্কেলের প্রথম প্রশ্নই হলো, ‘রোল নম্বর কত?’ রোল এক থেকে তিনের মধ্যে হলে পাপ্পুর সঙ্গে কথা বলার দুর্লভ সুযোগ পাওয়া যায়; অন্যথায় হাজার লিটার চোখের পানি ফেলেও কোনো লাভ হয় না। সংগত কারণেই পাপ্পুর বাসায় ফোন করলে আমার রোল হয়ে যায় ‘দুই’। একদিন আমার কণ্ঠস্বরে রোল নম্বর ‘দুই’ শুনে আঙ্কেলের সন্দেহ হলো! তিনি মেঘগম্ভীরস্বরে বললেন, ‘এ প্লাস বি হোল স্কয়ার-এর সূত্র বলো’। ক্লাসের লাস্ট বয় হলেও প্র্যাকটিক্যাল লাইফে গাধা ছিলাম না। গণিতের বই সামনে নিয়েই ফোন করেছিলাম! পাপ্পুর দারোগা বাবার গুগলি প্রশ্নের জবাবে বাউন্ডারি হাঁকালাম। ক্লাস সেভেনের ঘটনা এটি। তারপর পদ্মার বুকে কত পলি জমল, কত ম্যানহোলের ঢাকনা চুরি হয়ে গেল; সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরাও বড় হলাম।
পাপ্পু বেচারাকে নিয়ে তার বাবার বিশাল পরিকল্পনা। ছেলেকে তিনি এমনভাবে গড়ে তুলতে চান, যেন আইনস্টাইন-নিউটনের নামের পাশে উচ্চারিত হবে আরেকটি নাম—পাপ্পু। বাপের চোখে স্বপ্ন, কিন্তু ছেলের চোখে সরষে ফুল! পিচ্চি পাপ্পু ক্লাস ওয়ানে যখন সবে উনিশের ঘরের নামতা মুখস্থ বলতে পারে, তখনই তার চোখে উঠল উত্তলাবতল (উত্তল+অবতল) লেন্সের চশমা। যে ওজনের ব্যাগ কাঁধে চেপে আমাদের মুসা ইব্রাহিম এভারেস্ট জয় করে ফেলেছেন, তেমনি ভারী ব্যাগ কাঁধে চাপিয়ে পাপ্পু হাজির হতো ক্লাসে। জীবনে পাপ্পুকে কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে দেখেছি একবারই। সে সময়ও তার সঙ্গে ছিল পাঁচ টন ওজনের স্কুলব্যাগ। তখন থেকে পাপ্পুর নাম হয়ে গেল ‘সমগ্র বাংলাদেশ-৫ টন’!
আমরা যখন ‘ফালুদা’ খেতে খেতে ‘ফেলুদা’ পড়তাম, পাপ্পু তখন অনুশীলনীর উপপাদ্য সমাধান করায় ব্যস্ত থাকত। কৃষিশিক্ষায় গরু মোটা-তাজাকরণের চ্যাপ্টার পড়ানোর সময় হাতে-কলমে জ্ঞান লাভের জন্য পাপ্পুর বাবা একটি ফ্রিজিয়ান গাভি কিনে ছেলেকে উপহার দিয়েছিলেন। টেস্ট পরীক্ষার প্র্যাকটিক্যালে কুনোব্যাঙ ব্যবচ্ছেদ করতে হয় বলে আঙ্কেল অর্ডার দিয়ে গ্রাম থেকে ব্যাঙ আনিয়েছিলেন। টাকার লোভে নাকি পুরো গ্রামে কয়েক শ ব্যাঙ ধরেছিল গ্রামবাসী। এই অভিযানে বিরল প্রজাতির দু-একটা ব্যাঙও যে বিলুপ্ত হয়েছে, তা গবেষণা করলেই বেরিয়ে আসবে। এতকিছুর পরও ছেলেটার রোল নম্বর দেখলে বড় মায়া হতো!
পাপ্পুর জীবনেও একবার প্রেম এসেছিল নীরবে। সুপ্ত প্রেম যখন উপযুক্ত আলো-বাতাস পেয়ে অঙ্কুরোদ্গমের অপেক্ষায়, তখনই দৃশ্যপটে দুঃস্বপ্নের মতো হাজির হলেন ‘রোগা দারোগা’ (আঙ্কেলের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখে এ নামটি আমরা তাঁকে দিয়েছিলাম)। প্যাদানির মহিমায় প্রেমের ফুল ফুলদানিতেই শুঁটকি হলো। শৈশব-কৈশোরহীন পাপ্পু যথারীতি নতুন পড়া গিলতে আর পুরোনো পড়া জাবর কাটতে শুরু করল।
ঘটনা ঘটল এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন। পরীক্ষার হলে এক ঘণ্টার মাথায় পাপ্পু হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে গেল। বেচারার কী দোষ, আগের চার রাত না ঘুমিয়ে শুধুই পড়াশোনা করেছে। অসুস্থতার কারণে পাপ্পু আর কোনো পরীক্ষাই দিতে পারল না। কাজের সময় আট ঘণ্টা করার জন্য ‘ইন্টারন্যাশনাল লেবার ল’ হয়েছে; কিন্তু পড়াশোনার সময়সীমা নির্ধারণ করতে ‘ইন্টারন্যাশনাল স্টাডি ল’ নেই। এটি অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়! ছাত্রসমাজের উচিত, লেখাপড়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের দাবিতে ফেসবুকের মাধ্যমে আপসহীন ডিজিটাল আন্দোলন গড়ে তোলা।
রেজাল্টের দিন যখন আমরা মিষ্টি বিতরণ করছি, তখন পাপ্পু পরের বছরে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে ব্রেকিং নিউজ হচ্ছে, বাবার তাড়নায় ছেলে কলেজের ‘ক্যালকুলাস’ করাও শুরু করেছে। বাবা-মায়ের অতি যত্নে নির্যাতিত পাপ্পুর মতো বন্ধুদের জন্য রইল প্রাণঢালা সমবেদনা!
Hi,I'm mohiuddin
হোজ্জার কাছে এক লোক এসে বলল, হোজ্জা সাহেব, শুনেছি আপনি অনেক জ্ঞানী মানুষ। আপনার অনেক বুদ্ধি। তাই আমি এলাম আপনার কাছে কিছু শিখব বলে।
হোজ্জা বললেন, ঠিক আছে শিখতে চাইলে বসুন এখানে। লোকটি বসল।
কিছুক্ষণ পর হোজ্জার স্ত্রী একটি বাটিতে করে জ্বালানো কয়লা দিয়ে গেলেন কামরা গরম করার জন্য।
কয়লা যখন নিবু নিবু তখন আগুনের তাপ বাড়ানোর জন্য হোজ্জা সেই কয়লায় ফুঁ দিতে লাগলেন। তখন লোকটি বলল, হুজুর কয়লায় ফুঁ দিচ্ছেন কেন?
উত্তরে হোজ্জা বললেন, এতে আগুন বাড়ে আর কামরা গরম হয়।
শুনে লোকটি বলল, যাক একটা নতুন জিনিস শিখলাম। ফুঁ দিলে গরম হয়।
কিছুক্ষণ পরের কথা। হোজ্জার স্ত্রী দুই কাপ চা দিয়ে গেলেন। হোজ্জা চা খাওয়ার সময় আবার ফুঁ দিতে লাগলেন।
তাই দেখে লোকটি জিজ্ঞেস করল, এখন ফুঁ দিচ্ছেন কেন?
জবাবে হোজ্জা বললেন, এতে চা ঠাণ্ডা হয়।
শুনে লোকটি অবাক হয়ে বলল, এটা কেমন কথা? একটু আগে বললেন ফুঁ দিলে গরম হয়। এখন আবার বলছেন ফুঁ দিলে ঠাণ্ডা হয়। একই মুখে দুই রকম কথা!
আপনি দেখছি আমার থেকেও বোকা। আপনার কাছে কিছু শিখব না। আমি চলি।
mohiuddin
বিএ পাস করেও এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে চাকরি পাচ্ছে না। মামা-খালুর জোর না থাকলে কি আর আজকাল চাকরি হয়? হঠাৎ একদিন চিড়িয়াখানায় তার একটা চাকরি হয়ে গেল। চিড়িয়াখানার বাঘটা হঠাৎ করে মারা যাওয়ায় খাঁচাটা শূন্য পড়ে আছে।
কর্তৃপক্ষ বলল, তুমি যদি খাঁচার ভেতর একটা বাঘের পোশাক পরে বাঘের মতো তর্জন-গর্জন দিতে পার, তাহলে মাসে আট হাজার টাকা পাবে।
অগত্যা বেকার ছেলেটা তাতেই রাজি।
রোজ চিড়িয়াখানা খোলার আগে সে বাঘের পোশাক পরে খাঁচায় ঢুকে পড়ে। দর্শক এলে তাদের তর্জন-গর্জন ও আরো নানা কায়দা-কুসরত দেখিয়ে ভীষণ আনন্দ দেয়। দেখতে দেখতে চিড়িয়াখানার দর্শক বেড়ে গেল। বাঘের খাঁচার সামনে বিরাট ভিড়। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষও খুশি হয়ে বেতন বাড়িয়ে দিল।
ভালোই চলছিল দিন। হঠাৎ একদিন হলো বিপত্তি। বাঘের খাঁচার পাশেই ছিল সিংহের খাঁচা। দুই খাঁচার মধ্যে একটা লোহার জালের বেড়া। একদিন সেই বেড়া ধরে লাফিয়ে নেচে-কুদে মজা দেখাতে গিয়ে পুরনো বেড়া ভেঙে সে গিয়ে পড়ল সিংহের খাঁচার ভেতর। এখন কী হবে? পৈতৃক প্রাণটা বুঝি আজ সিংহের হাতেই গেল। ভয়ে জবুথবু হয়ে খাঁচার এক কোণে বসে দোয়া-দরুদ পড়তে লাগল বেচারা।
এদিকে সিংহটাও কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থেকে ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়াল। তারপর আস্তে আস্তে এগিয়ে আসতে লাগল তার দিকে। ভয়ে তো তার প্রায় হার্ট অ্যাটাক হওয়ার জোগাড়। এদিকে সিংহটা একেবারে কাছে চলে এসেছে। প্রাণের মায়া ছেড়ে দিয়ে ছেলেটা যখন উঠে দাঁড়াল, ঠিক তখন সিংহটা বলে উঠল, ভাই, এত ভয় পাবেন না, আমিও বাংলায় অনার্স।